“রাতারগুল জলার বন”
“রাতারগুল জলার বন”
নাম শুনলেই আমাদের কল্পনায় ভেসে উঠে প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া সুন্দর্য ও বন্যপ্রাণীর
অভয়াশ্রম আরো মনেপরে যায় ডিংগী নৌকায় চরে এই সীমাহীন সুন্দর্য ভোগ করার স্বাধ ।
মোট ৫০৪.৫০ একর এলাকা
নিয়ে জলার বনটি বিস্তৃত । প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা হিজল-করচ-বরনগাছের পাশাপাশি
বেত, ইকরা, খাগড়া, মূর্তা ও শন জাতীয় বন রাতারগুলকে জলার বন হিসেবে অনন্য করেছে ।
এছারা এ বনে মোট ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদ, ২৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২০ প্রজাতির
সরীসৃপ, ১৭৫ প্রজাতির পাখি, ৯ প্রজাতির উভচর রয়েছে ।
কিন্তু এই কল্পনা আমাদের
আর দীর্ঘ দিন থাকবেনা কারন, “রাতারগুল বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রম প্রকল্প” নামে কোটি
টাকা আত্তসাত করার পরিকল্পনা চলছে । মোট ৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকার এই প্রকল্পে আওতাধীন
আছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা, বিলাসবহুল গাড়ি, এসি, ফ্রিজ, আর সি সি ঘাটলা, আরও আজগুবি
জিনিস । এর মাধ্যমে শুধু প্রাকৃতিক সুন্দর্যই নষ্ট হবে না, নষ্ট হবে ভ্রমণের স্বাধ
।
এই বনে প্রান আছে, আছে
বৈচিত্র, আছে সম্ভাবনা । যে সকল ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান বন ও পরিবেশ সম্পর্কে ভাবে
ও যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংশ্লিষ্ট অনুষদ আছে তাদের সম্পৃক্ত করে সঠিক
পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হোক । আমরা যদি এখন সচেতন না
হই তাহলে রাতারগুল জলার বনকে খুব
দ্রুত হারিয়ে ফেলবো ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন